• What Is Wordpress Website। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কী

  • How to use WordPress?-কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো ?

  • Database Create । How to create Database? ( কীভাবে ডাটাবেস তৈরী করবেন)

Wordpress Install । How to install Wordpress? (কীভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইস্টসটল/সেটাআপ করবেন)

  

Wordpress Install

Wordpress Install - ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল 

Manual Install Process Wordpress: 

Free Hosting or paid hosting দুটোরই ক্ষেত্রে Wordpress  installation এর জন্য 

> C-panel এর মধ্যে

   >Software 

              >Softaculous and App Installer 

থেকে      >Wordpress install এ ক্লিক করে Wordpress Install করে নিবো । 


Free Hosting or paid hosting দুটোরই ক্ষেত্রে Wordpress  installation এর জন্য 

> C-panel এর মধ্যে

   >Software 

              >Softaculous and App Installer 

থেকে      >Wordpress install এ ক্লিক করে Wordpress Install করে নিবো । 


Manual Install Process Wordpress: 

  • Download Wordpress   (wordpress.org থেকে wordpress টি Dowanload করে নিবো)

  • Cpanel থেকে Fill manager এ গিয়ে  ‍public html অথবা htdocs  ফোল্ডারের ভিতরে Wordpress টি আপলোড করে দিবো।         (Zip- Unzip) 

  • Add User To Database Details 

(User এবং Database এর মধ্যে কানেকশন করিয়ে দেতে হবে)

  • Manage User Privileges 

(All Privileges/ যেটার প্রয়োজন হবে না সেটা  চেক মার্কটি উঠায়ে দেবো)

  • Install Wordpress   

Enter Domain in Address Bar /wp-admin (www.example.com/wp-admin)

And setup Wordpress


Wordpress Install । How to install Wordpress? Video Tutorial Here:

Database Create । How to create Database? ( কীভাবে ডাটাবেস তৈরী করবেন)

Database Create

একটি MySQL Database তৈরি করতে, প্রথমে সি-প্যানেলে লগ ইন করুন এবং ডাটাবেস সেকশন থেকে MySQL Database আইকনে ক্লিক করুন।

আপনি ডাটাবেসের যে নামটি চান তা বক্সে  লিখুন এবং “Create Database” বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার MySQL ডাটাবেসটির নামের আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সি-প্যানেলের ইউজারনেম যুক্ত হয়ে তৈরি হয়ে যাবে। 

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি “mydatabase” নামটি নির্বাচন করেন এবং আপনার সি-প্যানেল ইউজার নামটি abCd হয়, তাহলে আপনার নতুন তৈরি ডাটাবেসের নাম হবে abCd_mydatabase 

আপনার প্রয়োজন হলে, আপনি phpMyAdmin থেকে আপনার ডাটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারেন।

কিভাবে MySQL User তৈরি করবেন?

MySQL ডাটাবেস পেইজটি যদি নিচে স্ক্রল করে মাঝখানে আসেন, তাহলে MySQL User এর একটি সেকশন আপনি দেখতে পাবেন। 

“Add New User” সেকশনে আপনি যে ইউজার নামটি তৈরি করতে চান সেটি লিখুন এবং পাসওয়ার্ড যোগ করে তা নিশ্চিত করুন।

sql users

এখন “Create User” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার MySQL User তৈরি হয়ে যাবে।
আপনি Current Users সেকশনের অধীন হতে আপনার সমস্ত ডাটাবেস ইউজার গুলো দেখতে পারবেন।

MySQL Database এবং User কীভাবে সংযুক্ত করবেন?

MySQL User সেকশনের নীচে, সংযুক্ত করার জন্য Add User To Database অপশনটি আপনি খুজে পাবেন।

এই অপশনের সাথে ডাটাবেস ইউজারকে এ্যাসাইন/ নিযুক্ত/ নির্ধারন করতে MySQL ডাটাবেসে অনুমতি প্রদানের প্রয়োজন হবে। 

সেজন্য ইউজার ড্রপডাউন মেনু এবং ডাটাবেস ড্রপডাউন মেনু থেকে ডাটাবেস নাম ও ইউজার নির্বাচন করুন তারপর Add বাটনে ক্লিক করুন।

add user to database

পরের পেজ এ আপনি ইউজারকে যে যে অপশনগুলোর পারমিশন দিতে চাচ্ছেন সেগুলোতে টিক দিন এবং “Save the Changes” বাটন এ ক্লিক করুণ। এরপর ইউজারটি ডাটাবেজ এর সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

কিভাবে MySQL User পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন?

সিপ্যানেলে MySQL ডাটাবেসগুলো পেইজের নিচে, আপনি  MySQL User তালিকা দেখতে পাবেন।

এখান থেকে, আপনি ইউজারের জন্য পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, ইউজারের নাম পরিবর্তন এবং প্রয়োজনে তা ডিলিটও করতে পারেন।
আপনি যদি ডাটাবেস ইউডারের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে আপনার MySQL User এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন। এইখানে থেকে “Change Password” বাটনে ক্লিক করে  MySQL User পরিবর্তন করতে পারেন।

current database users

পরের পেইজে, নতুন পাসওয়ার্ড লিখুন এবং ২য় বক্সে পাসওয়ার্ডটি নিশ্চিত করুন। অনুগ্রহ করে সিকুরিটির জন্য একটি শক্তিশালী (বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং প্রতীক যুক্ত) পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন।

set mysql user password

আপনার নতুন পাসওয়ার্ডটি MySQL User এ দিয়ে Save Change  এ ক্লিক করুন।

কিভাবে MySQL ডাটাবেস ডিলিট করবেন?

MySQL ডাটাবেস সেকশনে সকল  MySQL ডাটাবেস তালিকা পাওয়া যাবে।

প্রয়োজনে আপনি আপনার ডাটাবেজের নাম সার্চ করেও বের করতে পারেন।

ডাটাবেস তালিকা থেকে, ডিলিট বাটনে ক্লিক করুন।

delete current database

পরবর্তী পৃষ্ঠায় ডিলিট করার বিষয়ে সিস্টেম আপনার স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার জন্য কনফার্মেশন চাইবে।

ডিলিট করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে “Delete Database’’ বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার ডাটাবেস স্থায়ীভাবে মুছে যাবে।

confirm delete mysql database

আপনার ডাটাবেস ডিলিট হবার পর, MySQL Database পেইজে ফিরে যেতে Go back বাটনে ক্লিক করুন।

কিভাবে MySQL User ডিলিট করবেন?

ডাটাবেস User ডিলিট করতে পেজ স্ক্রোল করুন এবং নিচের দিকে আপনি Current Database ইউজারদের তালিকা দেখতে পাবেন।

current users database

আপনি যে ডাটাবেজ টি ডিরিট করতে চান সেটি পাশে “Delete” বাটনটিতে ক্লিক করুন।

পরবর্তী পৃষ্ঠায়, আপনাকে প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে বলা হবে।

delete current users

আপনার MySQL User ডিলিট এর বিষয়টি নিশ্চিত করতে “Delete User” বাটনে ক্লিক করুন। 

Database Create Video Tutorial Here: 

How to use WordPress?-কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো ?

How to use Wordpress

WordPress.com নাকি WordPress.org?

গুগলে WordPress লিখে সার্চ করলে দুইটি ওয়েবসাইট শীর্ষস্থানে দেখতে পাবেন। এর মধ্যে একটি হলো WordPress.com ও অন্যটি WordPress.org সাইট। মজার ব্যাপার হলো, দুইটি ওয়েবসাইটের নামই WordPress হলেও কার্যক্রমের দিক দিয়ে এই দুইটি ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। চলুন সেই পার্থক্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমেই কথা বলা যাক WordPress.org নিয়ে। এটি হলো ওয়েবসাইটের জন্য একটি ফ্রি ও ওপেন-সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। অর্থাৎ ওয়ার্ডপ্রেস একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরী করা যাবে। WordPress.org থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিজের হোস্ট করা যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি একটি হোস্টিং সার্ভিস যেমন হোস্টগেটর, Bluehost, DijitalOcean, Vultr, Cloudways প্রভৃতি ব্যবহার করতে পারেন।

অন্যদিকে WordPress.com হলো মূলত একটি ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি, যা WordPress.org এর সফটওয়্যার ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে ওয়েব হোস্টিং সেবা এবং ওয়েবসাইট তৈরীর সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে WordPress.org এর আসল সফটওয়্যার সরাসরি প্রচলিতভাবে ব্যবহার না করায় WordPress.com এ কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

এই আর্টিকেলে আমরা ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ওয়ার্ডপ্রেস অর্থাৎ WordPress.org এ যেটা পাওয়া যায় সেটা নিয়ে জানবো।

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার 

  1. WordPress.org   ( কাজের ক্ষেত্রে আমাদের এটি প্রয়োজন হবে)

  2. WordPress.com (যেহেতু এটির অনেক লিমিটেশন রয়েছে তাই এটি ব্যবহার করবো না )


Wordpress শেখার জন্য অবশ্যই একটি ডোমেইন হোস্টিং

এর প্রয়োজন রয়েছে।


Domain Hostiog কী?


“ডোমেইন এবং হোস্টিং কি ? সাধারণত কিভাবে এরা কাজ করে থাকে? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ডোমেইন (Domain):
ডোমেইন (Domain) একটি ইংরেজি শব্দ এর বাংলা অর্থ হলো স্থান বা ঠিকানা যা ইন্টারনেট জগতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত, ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটা ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়।প্রত্যেক ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) থাকে। যেমনঃ 66.220.159.255. সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট মনে রাখা কষ্টসাধ্য। তাই মনে রাখার সুবিধার জন্য আইপি অ্যাড্রেসের পরিবর্তে ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এক বা একাধিক কম্পিউটার কে ইন্টারনেট এ চেনার জন্যও ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়।

যেভাবে ডোমেইন কাজ করে থাকে।

সাধারনত আপনি যখন কোন ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে যে কোন ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস লিখে থাকেন, তখন নিম্নলিখিত ধাপগুলোর মাধ্যমে ডোমেইন কাজ করে থাকেঃ-

উদাহরণস্বরূপঃ- আপনি যখন https://engineerbd.net ওয়েবসাইটটি তে প্রবেশ করবেন, তখন নিচের কাজ গুলো সম্পাদিত হবে।

প্রথমত, ব্রাউজার আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) অনুসন্ধান করে ।
তারপর SG নেমসার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়,
পরবর্তীতে, SG রিকোয়েস্টটি গ্রহণ করে লোকাল সার্ভার হতে প্রাইমারি সার্ভার এর সাথে যোগাযোগ করে,
প্রাইমারি নেমসার্ভার https://engineerbd.net এর আইপি অ্যাড্রেস লোকাল নেম সার্ভারে পাঠানো হয়
ফাইনালি, সেই https://engineerbd.net সাইটটি ব্রাউজারে প্রদর্শিত হয় ।

হোস্টিং (Hosting):
ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টি সব সময় অন বা চালু থাকবে । সেই সাথে ওয়েবসাইট টি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রদর্শন করতে পারবেন। মূলত, আপনার ওয়েবসাইটের Content, Images, Videos, এবং বিভিন্ন File সার্বক্ষণিক তথা দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন চালু রাখার জন্য একটি স্পেস বা জায়গা প্রয়োজন। আর সেই নির্ধারিত স্পেস বা জায়গা কেই বলা হয় ওয়েবসাইটের হোস্টিং বা ওয়েব হোস্টিং (Web Hosting) । আবার হোস্টিং কে সাধারনত সার্ভার (Server) বলা হয় এবং কখনও এটিকে ওয়েব সার্ভার ( Web Server) ও বলা হয়ে থাকে।

যেভাবে হোস্টিং কাজ করে থাকে
যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইনটি ব্রাউজারে লিখে ইন্টারনেটে সার্চ করবে তখন ডোমেইন নামটি IP Address এ রূপান্তরিত হয়ে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির কম্পিউটারে নিয়ে যাবে মূলত যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের Content, Images, Videos, এবং বিভিন্ন ফাইলগুলো জমা করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে জমা করা ফাইলগুলো তৎক্ষণিক ভাবে ভিজিটর বা ইউজারের ব্রাউজারে পাঠানো হয়। তারপর ইউজার সেই ওয়েবসাইট টি দেখতে পান। এভাবেই মুলত ওয়েব হোস্টিং কাজ করে থাকে।

Example:

Domain:    sitename.com,     sitename.org   sitename.xyz 

Hosting:    Website এর সকল ফাইল ও তথ্য রাখার জায়গা। 

Hosting 

1. Live Server   (Online  server)                                  

2. Local Server  (Personal computer space)

   এর জন্য আলাদাভাবে সফটওয়ার ইনস্টল দেওয়ার লাগবে। 

Paid Hosting   Domain & Hosting purchase করলে Hosting Provider এর কাছ থেকে আপনি পাবেন।

  • একটি  control panel ( C-panel ) এর লিংক

  • Contronl Panel এর লগইন ডিটেইলস দিবে। 

সেগুলো দিয়ে Control panel (C-panel) এ  লগইন করার লাগবে। 

Free Hosting

         ফ্রি হোস্টিং: এর জন্য 

কোনো ফ্রি হোস্টিং দেয় এমন সাইট গুলোতে গিয়ে লগইন করতে হবে। 

সেখান থেকে ফ্রিতে একাউন্ট ক্রিয়েট করে C-panel এর লগইন তথ্য বানিয়ে নিতে পারবো ।   Free Hosting Website:


Free Hosting, C-panel Loging Video Tutorial Here: 







 


ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কি ? What is Wordpress Website?


What is Wordpress Website
























 
ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওয়েবসাইট বানানোর খুবই সহজ ও জনপ্রিয় উপায়।প্রকৃতপক্ষে, ওয়ার্ডপ্রেস ইন্টারনেটের সমস্ত ওয়েবসাইটের 43.3% এর বেশি ক্ষমতা রাখে।  যদি আপনি চার টি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তবে এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী ওয়ার্ডপ্রেস হলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। এটি একটি ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার। সাড়া বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ ওয়েবসাইট WordPress দিয়ে তৈরি করা এবং এটি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ওয়ার্ডপ্রেস মূলত php এবং mySQL দিয়ে তৈরি করা।

What is Wordpress Website? ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কি? 

ওয়ার্ডপ্রেস CMS software দিয়ে প্রস্তুতকৃত ওয়েবসাইট গুলোই মুলত  ওয়ার্ডপ্রেস (wordpress website) । 

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট / কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো?

 

মনে করুন আপনার একটি ওয়েসাইট দরকার কিন্তু আপনি ওয়েবসাইট বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। এমন অবস্থায় আপনি ওয়েবসাইট ডেভলপার দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপ অথবা কাস্টমাইজ করে নিলেন। পরবর্তীতে আপনার সাইটের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস অপারেটর রাখতে না চাইলে আপনাকে নিজেই সাইটটি অপারেট করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার কোডিং দক্ষতা ছাড়াই আপনি আপনার সাইটটি চালাতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার কিছু সেল্ফ স্টাডি করার প্রয়োজন হতে পারে। সব কথার মূল কথা হলো WordPress সাইট চালানো অনেক সহজ, চাইলে যেকেউ এটা অপারেট করতে পারে। তাই এর জনপ্রিয়তাও দিন দিন যেমন বেড়ে চলছে তেমনি প্রতিনিয়ত এটার ফাংশনালিটিও বেড়েই চলছে। আজকাল ব্লগিং থেকে শুরু করে ই-কমার্স সাইট, সংবাদপত্র, ই-লার্নিং থেকে শুরু করে প্রায় সকলপ্রকার ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এটার চাহিদাও দাড়ুনভাবে বেড়ে চলছে।


ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি / ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন :

 

ওয়ার্ডপ্রেস জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো এটার থিম। যে কেউ চাইলে WordPress Development শিখে এটার থিম ডেভলপ করতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম বলতে মূলত বুঝায় একেকটা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের ডিজাইন এন্ড্র ডেভলপমেন্ট টাকে। ডেভলপাররা তাদের নিজের মতো করে বিভিন্ন ধরনের থিম তৈরি করে থিমফরেস্ট অথবা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে দিয়ে রাখছে। যে কেউ চাইলে সেখান থেকে রেডিমেড থিম কিনে নিয়ে একদিনেই সেই থিম মনের মতো করে কাস্টমাইজ করে বানিয়ে ফেলতে পারে মনের মতোন ওয়েবসাইট। যেকোনো প্রকার ওয়েবসাইট যা মানুষের প্রয়োজন হতে পারে এমন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডেভলপাররা ওয়ার্ডপ্রেস থিম বানিয়ে রেখেছে। আপনার যেটা প্রয়োজন আপনি শুধু সেটা থিমফরেস্টে সার্চ করেলেই পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনমতো ওয়ার্ডপ্রেস থিম। শুধু প্রিমিয়াম নয়, গুগলে সার্চ করলেই আপনি অনেক ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাবেন। তবে আমি সাজেস্ট করবো আপনি সম্ভব হলে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। যেটা আপনার জন্যই ভালো হবে। কারণ- ফ্রি থিমগুলিতে অনেক বাক থাকে এবং এটা সাধারণভাবে মনেরমতো সম্পূর্ণরুপে কাস্টমাইজ করা যায়না। এছাড়াও ফ্রি থিমে অনেকরকম সমস্যা থাকতে পারে। তাই এসব সমস্যার মুখোমুখি হতে না চাইলে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার কর, যেটা আপনার জন্য ভালো হবে।


ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন:

ওয়ার্ডপ্রেসে সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো এটার প্লাগিন সুবিধা। প্লাগিন এমন একটি টুলস যেটা দিয়ে সাইটে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনালিটি যুক্ত করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে মনের মতো করে অনেক সুবিধা এ্যাড করা যায়। আজকাল WordPress website-এ অনেক ক্ষেত্রেই প্লাগিনের ব্যবহার করা যায়। যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি থেকে শুরু করে আপনার সাইটের এসইও এবং ভিজিটর কাউন্টিং পর্যন্ত আপনি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনের মাধ্যমে করতে পারেন। বহুমূখী কাজের জন্য এই প্লাগিন ব্যবহার করা হয়। সবথেকে জনপ্রিয় কিছু প্লাগিন হলো:

  1. Yoast SEO
  2. Contact Form 7
  3. Akismet Anti Spam
  4. W3 Total Cache
  5. WordFence
  6. Jetpack
  7. WooCommerce
  8. WPBakery Page Builde

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের চাহিদা:

সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ব্যবহারের দিক দিয়ে WordPress সাইট পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেসের দিকে ঝুকে পড়েছে। আর তাই এটার ডেভলপারদেরও চাহিদাও স্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করছে। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টটা শিখতে একটু কঠিন হলেও এটার ফল মিষ্টি। আমার এই আর্টিকেলটি লিখা পর্যন্ত একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারের মাসিক আয় ৪০ হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে। তাই তরুনরা স্বাভাবিকভাবেই এটার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু WordPress Development-এ প্রোগামিং/কোডিং থাকায় অনেকেই সফল হতে পারতেছেনা। আমি তাদেরকে বলবো সময় নিয়ে ধয্য সহকারে সঠিকভাবে লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই আসবে। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট আসলে তেমন কোনো কঠিন কাজ নাহ। একবার শিখে নিতে পারলে এটার মতো মজা আর কোথাও পাবেন না। তাই যারা WordPress Development শিখতে গিয়ে থেমে যাচ্ছেন আমি তাদেরকে আবারো বলবো সময় নিয়ে ধয্য সহকারে সঠিকভাবে লেগে থাকলে সফলতা অবশ্যই আসবে। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে আপনাকে প্রথমেই htmlcss দিয়ে শুরু করে php এবং mySQL ইত্যাদি বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট কি ?

ওয়ার্ডপ্রেস থিম | সাধারণভাবে HTML, CSS, JS দিয়ে যেসকল ওয়েব টেমপ্লেট বা থিম তৈরি করা হয় সেগুলি স্টেটিক অবস্থায় থাকে। স্টেটিক বলতে বোঝায় টেমপ্লেট বা থিমটির কোনো কিছু সাধারণভাবে পরিবর্তন করা যায়না। পরিবর্তন করতে গেলে ওই টেমপ্লেটির মূল কোডে গিয়ে এডিট করতে হয়। কিন্তু যারা ডেভেলপার না অথবা যাদের কোডিং নলেজ নেই, তাদের দ্বারা ওইসব টেমপ্লেটের কোড এডিট করা সম্ভব হয়না। কোনো কোডিং নলেজ ছাড়াই ডায়নামিকভাবে ওয়েবসাইটের কোনো কিছু পরিবর্তন বা আপডেট করার জন্য ওয়েব টেমপ্লেট গুলিকে ডেভেলপমেন্ট করতে হয়। ওয়েব টেমপ্লেট বা থিমগুলিকে অনেকভাবেই ডায়নামিক বা ডেভেলপমেন্ট করা যায়। ওয়েব টেমপ্লেটগুলিকে ডায়নামিক করার জন্য বিভিন্ন সিএমএস (Content Management System) অথবা ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, লারাভেল ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সিএমএস/ফ্রেমওয়ার্ক। যেসব ওয়েব টেমপ্লেট বা থিমকে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ডায়নামিক বা ডেভেলপমেন্ট করা হয় তাকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম বলে।

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব? ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন :

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য প্রথমে HTML, CSS, Bootstrap, JS, jQuery অর্থাৎ, ওয়েব ডিজাইন টা মোটামুটি ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটেপ্লেস গুলিতে হাজারো কাজ পাওয়া যায় যেখানে ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি HTML টেমপ্লেট দিয়ে বলবে এটা তাকে ওয়ার্ডপ্রেস কনর্ভাট করে দাও। তখন আপনি যদি এইচটিএমএল টেমেপ্লেট অথবা ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখেন, তখন HTML টেমপ্লেটকে ওয়ার্ডপ্রেসে কনর্ভাট করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। কাজেই একটি ওয়েব টেমপ্লেটকে ডায়নামিক করার জন্য অর্থাৎ, ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনার ওয়েব ডিজাইন টা ভালোভাবে রপ্ত করা আবশ্যক।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন:

অনেকেই মনে করে ওয়েব ডিজাইন শিখে অথবা ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শিখলেই আপনি হয়ে গেলেন পাক্কা ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার। আসলে ব্যাপারটি তেমন নয়, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে প্রথমে ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইন টি শিখতে হবে, তারপর পিএইচপি সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা নিতে হবে। এরপরে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শিখার পরে একজন ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্টটিও ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখার পরে আপনি গুটেনবার্গ শিখতে পারেন।

এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস পেজ বিল্ডারগুলি সম্পর্কেও আপনাকে মোটামুটি ধারণা রাখতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসের দুটি জনপ্রিয় পেজ বিল্ডার হলো: এলিমেন্টর এবং ভিজুয়্যাল কম্পোসার। এসব পেজ বিল্ডারগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই অনেক সুন্দর-সুন্দর ওয়েব পেজ ডিজাইন করে ফেলতে পারবেবন। এর বাইরেও ভালোকিছু করতে চাইলে PHP টা আরো ভালোভাবে শিখে লারাভেল ফ্রেমওয়ার্ক টা শিখতে পারেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বলেন অথবা ভালো কোনো আইটি র্ফামে উচ্চ বেতনের চাকুরী আপনাকে খুজবে। আপনি চাকুরী খুজবেন না, চাকুরীই আপনাকে খুজবে।